একগ্রামে এক লোক বাস করতো। নাম ছিল কালা মিয়া। তার পাঁচ সন্তান ছিল। দুই ছেলে তিন মেয়ে। বড় ছেলে কোন মতে দশম শ্রেণী পর্যন্ত পড়লেও বাকী ভাই বোনরা কেউই পঞ্চম শ্রেনী এর বেশী পড়তে পারেন না। অভাবের সংসার। দিন আনে দিন খায়। এভাবে চলে তাদের সংসার। কালা মিয়ার আত্মীয় স্বজনদের র্আথিক অবস্থা ভাল ছিল। তাদের সহায়তায় তারা চলতো। ছেলে বড় হওয়ার পর আত্মিয় স্বজনের সহায়তা নিয়ে ছেলেকে বিদেশে পাঠানো হলো। সেখানে গিয়ে সে প্রচুর টাকা পয়সা কামােই রোজগার করলো। এক সময় সে লন্ডনে পাড়ি জমালো। সেখানে ও গিয়ে সে প্রচুর টাকা পয়সা কামালো। তার পর সে বাড়ি আসলো বিয়ে করলো । কয়েক মাস পর সে আবার লন্ডন চলে গেল। বিবাহিত বউকে নিয়ে খুব ভাল ভাবে জীবন কাটাতে লাগলো। ধীরে ধীরে সে পাঁচ সন্তানের বাবা হলো। এদিকে দিনের পর দিন তার আয়ের পরিমান বাড়তে লাগল। এদিকে তার খায়েশ বাড়তে থাকলো । একদিন তার স্ত্রীকে বলল, সে আরেক টি বিয়ে করতে চায়। কিন্তু তার এ কথায় স্ত্রী কোন ভাবেই কর্ণপাত করে নিই। বরং তাকে বিয়ে না করার জন্য বার বার বারণ করলেও কোন ভাবেই থাকে থামানো গেল না সে দেশে ফিরে আসল এবং আবার বিয়ে করলো দ্বিতীয় বউকে নিয়ে সংসার করতে লাগলো দ্বিতীয় বউয়ের ঘরে হলো ছয় সন্তান। এবার আরেক বিয়ে করার সিদ্বান্ত নিল কিন্তু কাউকে জানালো না সে দেশে ছুটিতে আসলো এবং এরকটি বিয়ে করলো প্রথম ও িদ্বিতীয় বউ খবর শুনে রেগে মেগে আগুন হয়ে গেলো তারা বাড়িতে আসলো এবং অনেক ঝগড়া ঝাটি করলো কিন্তু কোন কিছুতেই কাজ হলো না । নতুন বউয়ের এর গরে হলো তিন সন্তান । কিছু দিন পর শুনা গেল সে আরেক টি বিয়ে করেছে এবার বউয়েরা আর কিছু বললনা। কিন্তু বউয়েরা আস্তে আস্তে ধন সম্পদ টাকা পয়সা তাদের দখলে নিতে লাগল। এদিকে বয়স বাড়তে থাকায় এখন আর আগের মতো রোজি রোজগার ও করতে পাছেনা। সন্তানেরা যেগুলো আয় রোজগার করে সেগুলো থেকে তার থাকে কেউ দেয় না। একদিন বড়বউয়ের সাথে ঝগড়া করে এবং এক পর্যায়ে বড় বউকে ছেড়ে দেয়। বড় বউ তার সন্তান সন্ততি নিয়ে তার নিজের নামে করা বাসায় চলে যায়। উল্লেখ্য, এ বাসাটি লোকটি তার নিজের উপাজর্িত টাকা দিয়ে কিনেছে। কিন্তু রেজিষ্টি করেছে বউয়ের নামে। এখানের বাসায় অনেক পরিবার বাড়া থাকে মোটামোটি মাসে এখান থেকে পঁঞ্চাশ থেকে ষাট হাজার টাকা পাওয়া যেত। কিন্তু বউকে ছেড়ে দেওয়ার পর এ টাকা এখন সে আর পাচ্চেনা। অপর দিকে সন্তান সন্ততিগন বাপের আচরণে ক্ষুদ্ধ তারা মায়ের সাথে থাকে। এ বাসার টাকা না পেয়ে অনেক বিচার সালিসি হলো কিন্তু কোন কাজ হলো না। উপায়ান্তর না পেয়ে সে থানার সাহায্য নিলো প্রথম প্রথম থানা তাকে সহযোগিতা করলেও পরে থানা ও থাকে সহযোগিতা করে না।বরং উলটো তাকে হয়রানি করা হয় এবং তাকে বিভিন্ন ভাবে ভয় দেখানো হয়। একদিন ক্ষুদ্ধ হয়ে তিনি পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে গেলেন এবং সকল ঘটনা খুলে বললেন, উনি ও এক পর্যায়ে তাকে কোন সহযোগিতা করলেনা। তাই এক চিঠির মাধ্যমে পুলিশ সুপারকে বলেছিলেন “ভিক্ষার দরকার নেই তর কোত্তা সামল”