
বৃদ্ধ লোকটি কান্না জড়িত কণ্ঠে বলল, যাদের জন্য আমার জীবন পর্যন্ত উৎসর্গ করতে কোন্ঠা বোধ করতাম না তারাই আজ আমার সংগ ত্যাগ করে চলে গেছে। আমার ভাবতে অবাক লাগে একদিন যাদের আমি ছিলাম মধ্য মনি আজ তাদের শত্রুতে পরিণত হয়ে গেছি বলে লোকটি অঝর ধারে চোখের পানি ফেলতে শুরু করলেন। এবং বলতে লাগলেন তার অতিতের কথা, যখন তিনি ছোট ছিলেন, তখন তার বাবা গরিব ছিলেন, অভাবের সংসার তাই তার লেখা পড়া হলো না। সবার মূখে আহার যোগাতে তিনি অন্যের বাড়িতে কাজ করতে শুরিু করলেন। কাজ করে যা পেতেন তা দিয়ে পরিবারের সবার মূখে আহার যোগাতেন। এর মধ্যে ভাই বোনদের লেখা্ পড়ার খরছ ও দিতেন। য়খন তিনি বড় হলেন তখন তিনি ব্যবসা করার চিন্তা করলেন । ছোট একটি পান দোকান দিলেন। তাতেও তিনি তার সংসারের অভাব গোছাতে পারলেন না। অবশেষে তিনি ভারত – বাংলার সাথে অবৈধ ভাবে ভ্যবসা শুরু করলেন। এ ব্যবসায় তিনি ভাল উন্নতি করতে লাগলেন , ভাই বোনদের তিনি বিয়ে শাদি দিলেন তাদের কে ও তিনি ব্যবসা বনিজ্য করার সুযো্গ সৃষ্টি করে দিলেন। তিনি নিজেও বিয়ে শাদি করলেন। সংসারাদি খুব ভালই চলল। টাকা পয়সার তার কোন অভাব থাকল না। তাকে সবাই সম্মান দিতে শুরু করল। যে আশরে তিনি গিয়ে বসার কথা জীবনে চিন্তা করতে পারতেন না সেখানে যাওয়ার জন্য তাকে আমন্ত্রণ করা হত।তিনি যে সিদ্ধান্ত দিতেন সে সিদ্ধান্ত সকলে মাথা পেথে নিত।তিনি যখন যেটা ছাইছেন সাথে সাথে সেটা তার কাছে পৌছে যেত।ছেলে মেয়ে স্ত্রীগন তাকে মাথার তাজ হিসাবে রাখতো। এলাকা বাসি তাকে নেতা বলে ডাকতো।তার ডাকে এলাকার লোকজন উঠতো আর বসতো। আজ তিনি বৃদ্ধ অবস্থায় ঘরে পড়ে আছেন এবং মৃত্যূর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন। এখন কেউ তাকে একনজর দেখতে আসে না । তাকে সান্তনা দেওয়ার মত একটি লোক ও পাওয়া যায়না। স্ত্রী পুত্র কন্যা সবাই যার যার মত চলে গেছে। তাকে সময় দেওয়ার মত কেউ নেই। এখন তিনি একা , বড়ই একা। মাঝে মাঝে রাত্রে তিনি দুঃস্বপ্ন দেখেন ভয় পান । কিন্তু কাউকে একথা বলার জন্য কাছে পান নাই। তাই তিনি মনের দুঃখে কান্না জড়িত কন্ঠে বললেন, ‘‘ সু-সময়ে বন্ধু বটে সকলেই হয়, অসময়ে হায় হায় কেউ করো নয়”